চট্টগ্রাম

মাছ-মাংস স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে।

  প্রতিনিধি ২০ মার্চ ২০২৩ , ৪:১৫:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

মোঃ শহীদুল ইসলাম,বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি :

#দাম নিয়ন্ত্রনে রমজানের আগে প্রয়োজন বাজার মনিটরিং,জেলা প্রশাসনের ৭ সদস্য বিশিষ্ট বাজার মনিটরিং কমিটি গঠন।

সামনে আসছে মাহে রমজান। বর্তমান সময়ে  বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে,যা স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে ।বাজারে কোন পণ্যের দাম একবার বাড়লে তা কমার কোন নামগন্ধ নেই।শুকনো মুদি দোকানের মালের দামের সাথে প্রতিযোগিতা দিয়ে বাড়ছে সবজি,মাছ মাসং,ভৌজ্য তৈল,সহ জীবনধারণের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক দ্রব্যের দাম।
অস্থিতিশীল এমন দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতীর কারনে যত চিন্তা দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত মানুষের।
২০শে মার্চ (সোমবার ) বান্দরবান জেলার ও জেলা সদরের  আশেপাশের বিভিন্ন বাজার ও সুপারশপ ঘুরে দেখা গেছে আগে থেকে  বাড়তি  চিনি, তেল, আটা-ময়দার দাম কমেনি।সাধারণত রমজানে ইফতার তৈরিতে  ছোলা, ডাল, বেসনের বেশি ব্যবহার হয়।ইফতার তৈরীতে ব্যাবহৃত উপকরণের দাম হু হু করে বেড়েছে। রমজান কে কেন্দ্র করে শরবত তৈরির জন্য যে ট্যাং ব্যাবহৃত হয়  তার দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি প্রায় ২০০ টাকা।
বর্তমান বাজারে ট্যাং ১৪০০-১৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। ছোলার দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা। মাসখানেক আগে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হয়েছে ৮০-৮৫ টাকা দরে,যা এখন ৯৫-১০০ টাকা।
অ্যাংকর ডাল কেজিতে ১০ টাকার মতো বেড়ে ৭০-৮০ টাকা এবং একইভাবে বেসনের দাম বেড়ে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বেঁধে দেয়া দামে প্রতি লিটার খোলা পাম তেল ১১৭ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা। একইভাবে সরকার
নির্ধারিত প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকার পরিবর্তে বিক্রি হচ্ছে ১৭২ থেকে ১৭৫ টাকায়। খোলা চিনির ক্ষেত্রে নির্ধারিত দাম ১০৭ টাকা হলেও এখনো খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি খোলা চিনি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাল চিনি (দেশি) বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা দামে। এদিকে মসলার বাজারে আদা-
রসুনের বাড়তি দাম কমেনি। আমদানি করা পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে মাছ-মাংস এখন অনেকটাই স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। মুরগির বাজার এক-দেড় মাস ধরেই অস্থির। দফায় দফায় বেড়ে
ব্রয়লারের কেজি এখন ২৫০-২৫৫ টাকা। সোনালি জাতের মুরগির কেজি ৩৪০-৩৫০ টাকা। মাসের ব্যবধানে গরুর মাংসের দাম প্রায় ৭০-৮০ টাকা বেড়ে এখন প্রতি কেজি হাড্ডি সহ ৮০০ টাকা সিনা/রানের মাংস ৮৫০-৯০০,খাসির মাংস ১০০০-১০৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
একইভাবে মানভেদে রুই-কাতলার কেজি হয়েছে ৩৫০-৪০০ টাকা, চাষের তেলাপিয়া পাঙাশ ২০০ টাকার কমে পাওয়া যাচ্ছে না। বেড়ে গেছে লেবুর দাম এক হালি লেবু আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা হতে ৮০ টাকা পর্যন্ত। একই কারণে বাড়ছে বেগুনের
দামও। গোল বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা দরে। তবে লম্বা বেগুন ৫০-৭০ টাকা, যা সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ২০ টাকা বেড়েছে।
আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বান্দরবান মুদি দোকান ব্যাবসায়ি মালিক সমিতির সভাপতি বিমল কান্তি দাশ জানান ইতিমধ্যেই রমজান উপলক্ষে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসন হতে বাজার মনিটরিং এর জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি  করে দেয়া হয়েছে।তাছাড়া ব্যাবসায়ি মালিক ঐক্য পরিষদের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট আরো একটি কমিটি এই রমজানে বাজারে দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে।তিনি আরো বলেন আমরা ইতিমধ্যে সকল মুদি দোকানে নির্ধারিত পণ্যের মূল্য তালিকা টাঙ্গিয়ে রাখতে চিঠি দিয়েছি।কোন ব্যাবসায়ি ভোক্তার নিকট পণ্য সামগ্রীর অধিক মূল্য নিচ্ছেন এমন অভিযোগ আসলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যাবস্থা গ্রহন করবে।
রমজানে বাজরে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক)সুরাইয়া আক্তার সুইটি বলেন আসন্ন রমজান মাসে কোন ব্যাবসায়ি যেনো ক্রেতা সাধারণের কাছ হতে অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি না করেন সে জন্য ইতি মধ্যেই বাজার মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম সহনীয় রাখার জন্য বাজার মনিটরিং টিম কাজ করবে,নির্ধারিত মূল্যের বেশি কোন পণ্য বাজারে বিক্রির অভিযোগ আসলে সে ব্যাবসায়ি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।তাছাড়া রমজানে আমাদের মোবাইল কোর্ট বাজার মনিটরিং করবে।কোন ভোক্তার সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ থাকলে তারাও জেলা প্রশাসনের দায়িত্বশীল ব্যাক্তির নিকট অভিযোগ জানাতে পারবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by