লক্ষ্মীপুরে নিজ কন্যাকে ধর্ষণ, ইউপি সদস্য বাবা জেলহাজতে

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুরে লম্পট পিতা ইউপি সদস্য কর্র্তৃক নিজের কিশোরী কন্যাকে লাগাতার ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযুক্ত লম্পট পিতা সিরাজুল ইসলাম রতন (৫০) কে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন বলে জানিয়েছেন অফিসার ইনচার্জ একে ফজলুল হক। অভিযুক্ত লম্পট পিতা সিরাজুল ইসলাম রতন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার রাজারাম ঘোষ গ্রামের মৃত নুরুজামানের পুত্র ও স্থানীয় উত্তর জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বলে জানা গেছে।

ছবি প্রতিকী

স্থানীয় এলাকাবাসী ও নির্যাতিতা কিশোরী (১৪) সূত্রে জানাযায়, তার পিতা সিরাজুল ইসলাম তাকে বিগত দুই বছরের অধিক সময় ধরে ধর্ষণ করে আসছে। এ ঘটনাটি কিশোরীর মা নিজে দেখে ফেললে সিরাজুল ইসলাম রতন মা ও মেয়েকে হত্যা সহ নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে প্রকাশ করা থেকে বিরত রাখে। এ দিকে কন্যাকে ধর্ষণ করার ঘটনা নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে গত ২ বছর আগে নিজ ঘরে স্ত্রী জুলেখা বেগমের লাশ পাওয়া যায়। সে সময় রতন তার স্ত্রী বিষপানে আত্ন হত্যা করেছে মর্মে প্রচার করে এবং নানা ভাবে প্রভাব খাটিয়ে বিষয়টিকে ধামা চাপা দেয়। পরবর্তীতে সিরাজুল ইসলাম রতন ফাতেমা নামের আরেক নারীকে বিয়ে করলেও মেয়েকে ধর্ষণ অব্যাহত রাখে।

সম্প্রতি পিতা কর্তৃক কিশোরী কন্যাকে লাগাতার ধর্ষনের বক্তব্য সম্বলিত একটি অডিও ক্লিপ সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেলে তা সর্বত্র জানাজানি হয়ে যায়। এর পর থেকে রতন কিশোরী কন্যাসহ পরিবারের সদস্যদের অন্যত্র লুকিয়ে রাখে। এ ঘটনায় খোকন নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত আবদন করলে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে লম্পট পিতা সিরাজুল ইসলাম ভিকটিম কিশোরী ও তার সৎ মা ফাতেমা বেগমকে আটক করে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ থানায় নিয়ে আসে।

চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একে ফজলুল হক জানান, ধর্ষক পিতা সিরাজুল ইসলাম দোষ স্বীকার করলে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।