চট্টগ্রাম

আগামীকাল পর্দা উঠছে চট্টগ্রামের বইমেলার

  প্রতিনিধি ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৪:৩১:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ

আগামীকাল পর্দা উঠছে চট্টগ্রামের বইমেলার

ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং বিপ্লবের তীর্থভূমি বীর চট্টগ্রামের জ্ঞান ও মননের আকাঙ্ক্ষা পূরণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ, চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজ, মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের সৃজনশীল প্রকাশকদের অংশগ্রহণে শুক্রবার থেকে চট্টগ্রামের ফুসফুস খ্যাত সিআরবিতে।

মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ শুরু হচ্ছে, যা চলবে ২ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত চলবে। ৪৩ হাজার বর্গফুটের সুবিশাল সিআরবির শিরীষ তলার মাঠে জুড়ে এবারের মেলায় থাকছে ১৫৫টি স্টল। এরমধ্যে ডাবল স্টল ৭৮টি এবং সিঙ্গেল স্টল ৭৭টি। চট্টগ্রামের পাশাপাশি ঢাকার সৃজনশীল অভিজাত প্রকাশনী সংস্থা গুলো মেলায় অংশ নিচ্ছে এবং তাদেরকে স্টলও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ঢাকা এবং চট্টগ্রামসহ মোট ৯২টি প্রকাশনা সংস্থা মেলায় অংশ নিচ্ছেন।

এছাড়াও থাকছে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন মঞ্চ, বঙ্গবন্ধু কর্নার, লেখক আড্ডাসহ নারী কর্নার ও সেলফি কর্নার। মেলায় প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করা হবে। এছাড়া জাতীয় জীবনে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য একুশে সম্মাননা স্মারক পদক ও সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হবে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য বেসরকারি পেশাদার একটি নিরাপত্তা সংস্থা সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। মেলা প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা ও ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

মেলার সার্বিক প্রস্তুতি তুলে ধরতে সিআরবির শিরীষতলায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনও করেছে চসিক। সংবাদ সম্মেলনে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী মেলার সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, মেলায় এবারের বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ লাখ টাকা। নিরাপত্তার স্বার্থে পুরো মেলা প্রাঙ্গণ সিসিটিভি নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত থাকবে। মেলা কার্যালয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত আসন থাকবে।

মাসব্যাপী বইমেলার অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে রবীন্দ্র উৎসব, নজরুল উৎসব, লেখক সমাবেশ, যুব উৎসব, শিশু উৎসব, মুক্তিযুদ্ধ উৎসব, ছড়া উৎসব, কবিতা উৎসব, মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারির আলোচনা, লোক উৎসব, তারুণ্য উৎসব, নারী উৎসব, বসন্ত উৎসব, মরমী উৎসব, আবৃত্তি উৎসব, নৃগোষ্ঠী উৎসব, পেশাজীবী সমাবেশ, কুইজ প্রতিযোগিতা, চাটগাঁ উৎসব, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, বইমেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

মেলায় প্রতিদিনের বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় দেশের প্রথিতযশা লেখক-কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ অংশ নেবেন । এছাড়াও মেলা মঞ্চে প্রতিদিন শিশু কিশোরদের চিত্রাঙ্কন, রবীন্দ্র-নজরুল-(লোক সঙ্গীত, সাধারণ নৃত্য, লোক নৃত্য, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা, দেশের গানের আয়োজন করা হবে। মেলাকে আকর্ষণীয় করার লক্ষ্যে চট্টগ্রামের লেখক, সাহিত্যিক, সংস্কৃতি কর্মী ও বইপ্রেমীদের নিয়ে বিভিন্ন উপ-পরিষদ গঠন করা হয়েছে। তাদের সহযোগিতায় প্রতিদিনের অনুষ্ঠানমালা সাজানো হয়েছে।

মেলা মঞ্চে প্রতিদিন মুক্তিযুদ্ধের জাগরণী ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশিত হবে।সিআরবিতে মেলা আয়োজনের বিষয়ে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘বাধ্য হয়ে সিআরবিতে এসেছি। সিআরবি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান। বইমেলা শুধু একটি মেলা নয়। এখানে লেখক, বুদ্ধিজীবী, সংস্কৃতি কর্মী, শিল্পী, পেশাজীবী, শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা হয়। নানা কারণে সিআরবিতে বইমেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

আমি মনে করি, যদি প্রতিবছর সিআরবিতে করি তাহলে তা হবে আকর্ষণীয়।’ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম,প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, মেলার আহ্বায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, আবদুস সালাম মাসুম, মেলার সদস্য সচিব মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, কামরুল হাসান বাদল, সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি শাহাবুদ্দিন বাবু, সাবেক সভাপতি শাহাবুদ্দিন নিপু।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by