চট্টগ্রাম

জমি নিয়ে বিরোধ, সংবাদ সম্মেলনে প্রতিপক্ষের বাঁধা

  প্রতিনিধি ১৬ এপ্রিল ২০২৩ , ৭:০৪:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ

লক্ষীপুর প্রতিনিধি:

লক্ষীপুরের রামগতিতে চাঁদা দাবি, প্রতিনিয়ত হুমকি ও জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাহাজাহান গংদের বিরুদ্ধে। এসময় সংবাদ সম্মেলনের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে ভুক্তভোগীদের নামে মানহানি মামলাসহ বিভিন্ন হুমকি দেয় তারা।
রবিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ করার কথা জানান ক্ষতিগ্রস্থরা। এর আগে শনিবার বিকেলে রামগতির বেড়ীবাঁধের সামনে ভুক্তভোগী পরিবারের ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে চিকিৎসক মোসলেহ উদ্দিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন- পরিবারের সদস্য আব্দুল খালেক, আক্তারের জামান নুর, মো. ফারুক, মো. এমদাদ হোসেন, ভুক্তভোগী নুরুল হকসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জমির মালিক দাবি করে মোসলেহ উদ্দিন বলেন, রামগতি উপজেলার ৬২/৩২ নং সেবাগ্রাম মৌজার দিয়ারা ১০০৯ নং খতিয়ানের ৬৯৮, ৬৯৭, ৭১০, ৪৮, ৪৯, ৫০ দাগের অন্দরে ১৮ শতাংশ জমি নিয়ে এ সমস্যা। জমিটি খরিদ সূত্রে মালিক হিয়ে দীর্ঘ ১৮ বছর যাবত ভোগদখল করছেন আব্দুল খালেক গং। এখন জমিটির মালিকানা দাবি করে শাহজাহান গংরা জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে তাদের অভিযোগ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আব্দুল খালেক গংরা আদালতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য মামলা দায়ের করেন। মো. শাহজাহান পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপসচিব ছিলেন বলে জানায় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জমিটির মূল মালিক ছিলেন জয়নাল আবেদীন নামে এক ব্যক্তি। তিনি তার মোট ৪৮ শতাংশ জমি থেকে ১৮ শতাংশ সম্পত্তি ২০০৪ সালে আব্দুল খালেক গংদের কাছে বিক্রি করেন। এর পর থেকে সম্পত্তিটি ভোগ দখল করে আসছেন বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
চিকিৎসক মোসলেহ উদ্দিন জানায়, শাহজাহান উপ-সচিব হওয়ায় বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের হুমকি দিচ্ছেন। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো এবং গ্রেফতারের ভয় দেখাচ্ছেন। এতে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। সবশেষ আমরা সাংবাদিকদের শরনাপন্ন হয়েছি, সেখানেও তারা বাধা দিচ্ছে। মো. দিদার, হেলাল, মঞ্জুর হোসেনসহ বেশ কয়েকজন সংবাদ সম্মেলনে এসে আমাদের ব্যানার ছিড়ে ফেলে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেছেন। আমাদের মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দিচ্ছেন। যার ভিডিও রেকর্ড আমাদের কাছে রয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ-প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ভুক্তভোগীরা।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by