ঢাকা

ঢাকা- টাঙ্গাইল মহাসড়কে দোকান ভাংচুর করে জোরপূর্বকভাবে সড়ক নির্মাণ করার অভিযোগ জমির মালিকদের

  প্রতিনিধি ২৫ আগস্ট ২০২১ , ৬:১৯:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

মঞ্জুর হোসেন মিলন, গাজীপুর:

ঢাকা- টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর মহানগরীর বাইমাইল এলাকায় অধিগ্রহণ না করে ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গার দোকান ভাংচুর করে জোরপূর্বকভাবে সড়ক নির্মাণ করার অভিযোগ জমির মালিকদের। জয়দেবপুর- চন্দ্রা- টাঙ্গাইল- এলেঙ্গা মহাসড়ক উন্নয়নে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরাধীন সাসেক প্রকল্পের ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন স্থানিয়রা। বুধবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক মোহাম্মদ জাকির খাঁ সংবাদ সন্মেলনে এই অভিযোগ করে।

জমির মালিক জাকির খাঁ বলেন, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির আমার ২৪শতাংশ এবং স্থানিয় কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্ত। জমির ক্ষতিপূরণ পাইতে চার বছর আগে গাজীপুর জেলা প্রশাসেকের কাছে আবেদন জানাই। এরই প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর ২০১৭ সালের শুরুর দিকে জটিলতা নিরসনে সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে চিঠি দেয়।

 

এতে সওজ সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্পের ব্যবস্থাপকের দপ্তর সারা দেয়নি। এপর অধিগ্রহণ ছাড়া রাস্তা নির্মাণ ঠেকাতে চার বছর আগে গাজীপুর সদর সহকারী কমিশনার(ভূমি) কার্যালয়ে সীমানা নির্ধারণী মামলা নং- ৭৭/ ২০১৭ইং দায়ের করি। সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দপ্তরে শুনানীর নির্ধারিত তারিখে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও প্রমাণাদিসহ উপস্থিত হয়নি সাসেক প্রকল্পের কোনো প্রতিনিধি। এ অবস্থায় কাজ চলমান থাকায় ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তি অনিশ্চিত হয়ে পরছে। সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাকির খাঁ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক সমর চন্দ্র সরকার, হাজী মো: ইউনুছ লাব্বু মিয়া ও আরফঅন সিএনজির প্রতিনিধি রবিউল আলম প্রমূখ।

গাজীপুর সড়ক বিভাগ সুত্র জানায়, অধিগ্রহণকৃত সরকারি ভূমি পরিমাপ করে বুঝিয়ে দিয়ে আবেদনকারীর ভূমি পরিমাপ করা হলে সড়ক ও জনপথ গাজীপুর সড়ক বিভাগের কোন আপত্তি থাকবে না বলে সার্ভেয়ার মো: জাহাঙ্গীর আলম পত্র দিয়ে সহকারী কমিশনারের কার্যালয়কে অবহিত করেছেন।

গাজীপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানিয়া তাবাসসুম বলেন, এখানে নতুন যোগ দিয়েছি বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে নথিপত্র দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাসেক সংযোগ সড়ক প্রকল্প ব্যবস্থাপক শাহানা ফেরদৌসী জানান, ওই সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর কোন চিঠি পাইনি। জেলা প্রশাসক অথবা সহকারী কমিশনার ভূমি যদি কোনো চিঠি দিয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আমরা সেখানে উপস্থিত থাকবো। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by