ক্রিকেট

তামিমের চেয়ে রান তোলার গতিতে এগিয়ে তরুণরা

  প্রতিনিধি ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ , ১:২০:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

স্ট্রাইক রেটের খেলা টি-টোয়েন্টিতে খুব একটা ভালো নয় বাংলাদেশের ওপেনিং ব্যাটসম্যানরা। অনেক বেশি ডট বল খেলার প্রবণতার কারণে শুরুতেই দলকে চাপে ফেলে দেন তারা। তবে, এবার কিছুটা ব্যতিক্রম দেখা গেছে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে। নাজমুল শান্ত, পারভেজ ইমন , নাইম শেখদের রান তোলার গতি চোখে পড়েছে ক্রিকেট বিশ্লেষকদের। তবে, বরাবরের মতোই হতাশ করেছেন দেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। প্রশ্ন উঠেছে, সংক্ষিপ্ত সংস্করণে তার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে।

২০০৭ সাল, বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতকে হারানো সে ম্যাচে আগ্রাসী ব্যাটিং দিয়ে সবার মন কেড়েছিলেন একজন, তামিম ইকবাল। জহির খানকে উড়িয়ে বাউন্ডারি ছাড়া করে, তিনি জানান দিয়েছিলেন আমরাও পারি। এরপর দীর্ঘ একটা সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের অপর নামই ছিলো তামিম।

কিন্তু, সময়ের সঙ্গে সেগুলো হয়েছে সুদূর অতীত। দলের প্রয়োজনে ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত হতে হয়েছে এককালের ড্যাশিং ওপেনারকে। আর এরপর থেকেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। অ্যাংকর রোল প্লে করবার নামে, তামিম যেমন নষ্ট করেছেন নিজের ব্যাটিং স্টাইলকে, তেমনি ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টির সম্ভাবনাও।

সদ্য সমাপ্ত বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপেও খুব ধারাবাহিক ছিলেন তামিম ইকবাল। তবে, সেটা কোন পজিটিভ সেন্সে নয়। প্রায় প্রতি ম্যাচে বল-রানের গতিকে সামাল দিতে পারেননি তিনি। ফলাফল, ৫ দলের টুর্নামেন্টে সবচেয়ে নীচে থেকে শেষ করেছে তার দল ফরচুন বরিশাল। ৬ জন ওপেনারকে তালিকায় নিলে, সবচেয়ে নীচে আছেন তামিম নিজেও। মোট রানে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও, স্ট্রাইক রেটটা টি-টোয়েন্টির বর্তমান সময়ের সঙ্গে যায় না একেবারেই।

ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘তামিম-মুশফিক-সাকিবরা যখন এসেছিলো তখন তারা পুরনোদের অতিক্রম করে নতুনভাবে ক্রিকেট খেলতে শুরু করে। সেই পরিবর্তনটা বাংলাদেশকে অনেক এগিয়ে দেয়। এ টুর্নামেন্টেও তেমনি অনেক তরুণ ক্রিকেটার নিজেদের জাত চিনিয়েছেন। তারা তামিমদের থেকে আরো এক ধাপ এগিয়ে পারফর্ম করেছেন। এখন এই নতুনদের আগমনকে স্বাগত জানাতে হবে। তাদেরকে ব্যবহার করতে হবে। আর পুরনোদের টিকে থাকতে হলে নতুনদের সঙ্গে তাল মেলানো শিখতে হবে।’

দেশের ওয়ানডে অধিনায়কের এ দুর্দশার সুযোগে নজর কেড়েছেন কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটার। রান কিংবা অ্যাভারেজে এখনো খুব বেশি শক্ত না হলেও, তাদের রান তোলার গতি দুর্দান্ত।

প্রথমেই বলতে হয় নাজমুল হোসেন শান্তর কথা। মিনিস্টার রাজশাহীর অধিনায়ক পুরো টুর্নামেন্টে খেলেছেন ওপেনিং পজিশনে। একটি সেঞ্চুরিসহ তার ঝুলিতে রান আছে ৩০১। তবে, তার স্ট্রাইক রেটটা ঈর্ষা জাগাবে যে কাউকে, ১৫৬ দশমিক সাত সাত। আর ছক্কা মারার হাতটাও দুর্দান্ত এ তরুণের।

এরপর যে নামটা আসবে, তার পরিচয় ক’দিন আগেও ছিলো বয়সভিত্তিক দলের সদস্য হিসেবে। তবে, বিশ্বকাপজয়ী পারভেজ হোসেন ইমন নিজেকে আলাদা করে চিনিয়েছেন এ টুর্নামেন্টে। সবচেয়ে কম বলে সেঞ্চুরি করে চোখ ধাঁধিয়েছেন বিসিবি কর্তাদেরও। তার স্ট্রাইক রেট ১৩০ এর ঘরে।

তিন নম্বরে আছেন মোহাম্মদ নাইম শেখ। সেঞ্চুরি আছে তার ঝুলিতেও। ১২৮ দশমিক সাত এক স্ট্রাইক রেটে টুর্নামেন্টে তার রান ২৬০।

এই তরুণদের আলোকচ্ছটায় অনেকে হারিয়ে গেলেও, নিজ যোগ্যতায় ঠিকই টিকে আছেন লিটন দাস এবং সৌম্য সরকার। দলের প্রয়োজন মতো খেললেও, তাদের স্ট্রাইক রেট লজ্জায় ফেলবে অনেক নামীদামীদের। সৌম্য ১২৫ এর বেশি স্ট্রাইক রেটে খেললেও, লিটনেরটা কিছুটা কম ১১৯ দশমিক চার পাঁচ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by