ময়মনসিংহ

ধোবাউড়ায় বছরে ৪ মাস বন্যার পানির সাথে বসবাস

  প্রতিনিধি ১ জুলাই ২০২০ , ৭:৪৯:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী ধোবাউড়া উপজেলার সবচয়ে অবহেলিত ইউনিয়ন পোড়াকান্দুলিয়া। কংশ নদীর পাড় ঘেষা এই ইউনিয়নটি নিচু এলাকাও বটে। এখানকার রাস্তাঘাটগুলো কাঁচা। বর্ষা এলেই পানির নিচে তলিয়ে যায় বেশীরভাগ রাস্তা। এতে বিভিন্ন স্থানে দেখা দেয় ভাঙ্গন। ফলে চরম দূর্ভোগে পড়ে সাধারন মানুষ। বছরে কমপক্ষে ৪ মাস বন্যার পানির সাথে বসবাস করতে হয় প্রায় ১৫ গ্রামের মানুষের। বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টি শুরু হলেই উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যার সৃষ্টি হয়। পানিতে ভরপুর থাকে কংশ নদী ও নিদয়া বিল। মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের উদয়পুর, বহরভিটা, বেতগাছিয়া, কালিনগর, রাউতি, ঘুঙ্গিয়াজুড়ি, আটাম মানিকপুর, চরেরভিটা, পুটিয়ারকান্দা, মদনপুর, আংগরাকান্দা, পোড়াকান্দুলিয়াসহ প্রায় ১৫ টি গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ফলে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ঐ গ্রামের মানুষ। ডিঙ্গি নৌকা ছাড়া বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না তারা। গবাদি পশু নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। প্রায় সবকটি রাস্তায় পানির নিচে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও পানি উঠে পড়েছে। পোড়াকান্দুলিয়া থেকে ঘুঙ্গিয়াজুড়ির রাস্তা এবং ঘুঙ্গিয়াজুড়ি স্কুল থেকে বীরমুক্তিযোদ্ধা আঃ জব্বার আকন্দ এর বাড়ির রাস্তাটি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বছরে প্রায় ৪ মাসই এই রাস্তাটি পানির নিচে থাকে। এতে মানুষজনের বাজারে যেতে যেমন সমস্যা তেমনি ছোট ছোট কোমলমতি শিশুরা স্কুলে যেতে পারেনা। এ ব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা অব: শিক্ষক আ: জব্বার বলেন, নিজ উদ্যোগে রাস্তাটি কোন রকম মেরামত করা হয়, অনেকে প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন রাস্তাটি করে দিবেন তবে এখনও কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এছাড়া পোড়াকান্দুলিয়া বাজার থেকে উদয়পুর বেতগাছিয়া হয়ে বহরভিটা যাওয়ার প্রধান সড়কটি বন্যার পানি নিমজ্জিত থাকে। এতে কর্মহীন হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ। তবে অনেকে এই সময়ে টুকটাক মাছ ধরে জিবিকা নির্বাহ করে। টিউবওয়েল ও পুকুর পানির নিচে নিমজ্জিত থাকায় নানান পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয় অনেকে। স্থানীয় শিক্ষক নূরুল ইসলাম জানান, নেতাই নদীতে বেঁড়ীবাধ নির্মাণ ও কংশ নদী খনন করা হলে বন্যার হাত থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। এ ব্যাপারে পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান স্বপন তালুকদার বলেন, পানি কমলে ভাঙ্গা রাস্তা সংস্কার করার চেষ্টা করব। পানি উন্নয়ন বোর্ড ময়মনসিংহ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুসা জানান, আমরা বেঁড়ীবাধ নির্মাণের প্রস্তাব পাঠিয়েছি, বরাদ্দ পেলে কাজ করতে পারব।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by