ঢাকা

নাদিয়ার মৃত্যু: আল্টিমেটাম দিয়ে সরে গেলেন শিক্ষার্থীরা

  প্রতিনিধি ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ , ৩:৫২:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক :

রাজধানীর প্রগতি সরণিতে বাসচাপায় নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাদিয়ার (২১) মৃত্যুর ঘটনায় বিমানবন্দর সড়কে নেওয়া অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে এসেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার দুপুরের দিকে আল্টিমেটাম দিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, সড়ক দুর্ঘটনা ঠেকাতে তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ চান। সেই সঙ্গে সহপাঠী নিহত হওয়ার ঘটনার দ্রুত ও সুষ্ঠু বিচার চান তারা। আন্দোলনকারীরা এ সময় তিনটি দাবির কথা জানিয়েছেন।

দাবিগুলো হলো- ভিক্টর ক্ল্যাসিক বাসের রুট পারমিট বাতিল করতে হবে, নিহত নাদিয়ার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং কাওলা এলাকায় একটি বাস স্টপেজ করতে হবে।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আজ সোমবার থেকে রাজধানীতে ভিক্টর বাস চলতে দেওয়া হবে না- এই আশ্বাসে আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে যান শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘২৯ তারিখের মধ্যে আমাদের ৩ দফা দাবি পূরণ না হলে আমরা আবার রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করব।’

এর আগে গতকাল দুপুর পৌনে ১টার দিকে ভিক্টর ক্ল্যাসিক পরিবহনের একটি বাসের চাপায় নিহত হন নাদিয়া। মাত্র দু’সপ্তাহ আগে নর্দান ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগের প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। তার বাবার নাম জাহাঙ্গীর মৃধা। বাড়ি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালি সদর ইউনিয়নের পূর্বনেতা গ্রামে। তারা নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় থাকেন।

রাজধানীর আশকোনা এলাকায় থেকে পড়াশোনা করছিলেন নাদিয়া। দুর্ঘটনায় নাদিয়ার বন্ধু মোটরসাইকেলের চালকের আসনে থাকা মেহেদী হাসান আহত হয়েছেন। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য একটি বিভাগের ছাত্র।

এদিকে নাদিয়ার মৃত্যুর পর গতকাল দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। আজও দ্বিতীয় দিনের মতো দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিমানবন্দর সড়কের কাওলা ব্রিজের নিচে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। ফলে খিলক্ষেত থেকে উত্তরাগামী রাস্তার যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। তবে দুপুর ১টার দিকে দেখা যায় দূরপাল্লার বাসগুলোর জন্য আলাদা একটি লেন করে সেগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by