ময়মনসিংহ

বকশীগঞ্জে একটি সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে ৫ লক্ষাধিক মানুষ

  প্রতিনিধি ৫ জানুয়ারি ২০২৩ , ৫:৫৪:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

মতিন রহমান বকশীগঞ্জ(জামালপুর)প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জ দশানী নদীতে একটি সেতুর অভাবে চরম ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছে বকশীগঞ্জ ও ইসলামপুর উপজেলার ৫ লক্ষাধিক মানুষ। বর্তমানে উল্লেখিত দুই উপজেলার বাসিন্দরা জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে খেয়া নৌকার সাহায্যে নদী পারাপার হয়ে আসছে।
বকশীগঞ্জ উপজেলার প্রতিবেশি উপজেলা ইসলামপুর উপজেলা। দুই উপজেলায় প্রায় ৫ লক্ষাধিক লোকের বসবাস। যোগাযোগ, ব্যবসা, শিক্ষা ও কৃষিকাজসহ নানা কাজে বকশীগঞ্জ ও ইসলামপুর উপজেলার লোকজন দুই উপজেলায় যাতায়াত করে থাকে। ব্রম্মপুত্র নদ ও দশানী নদী বকশীগঞ্জ ও ইসলামপুর উপজেলার মানচিত্রকে দ্বিখন্ডিত করেছে। বর্তমান সরকারের আমলে ব্রম্মপুত্র নদে একাধিক ব্রিজ র্নিমাণ হয়েছে। বকশীগঞ্জ শহর থেকে এলজিইডির একটি পাকা রাস্তা দশানী নদীর পূর্বপার পর্যন্ত সংযুক্ত হয়েছে। অপর দিকে ইসলামপুর উপজেলা শহর থেকে এলজিইডির একাধিক পাকা সড়ক দশানী নদীর পশ্চিমপারে সংযুক্ত হয়েছে। সড়ক পাকা হওয়ায় বকশীগঞ্জ উপজেলা শহর থেকে বিভিন্ন পরিবহন যোগে দশানী নদের পূর্ব পার পর্যন্ত যাতায়াত করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। একই কারণে একইভাবে ইসলামপুর উপজেলা শহর থেকে দশানী নদীর পশ্চিমপার পর্যন্ত যাতায়াত সহজ হয়েছে। কিন্তু দশানী নদীতে ব্রিজ না থাকায় দুই পারের লোকজনকেই নদী পারাপারের জন্য খেয়া নৌকার উপর নির্ভর করতে হয়। বকশীগঞ্জ উপজেলায় স্থল বন্দর ও পর্যটন কেন্দ্রসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অপর দিকে ইসলামপুর উপজেলায় ট্রেন সুবিধাসহ নানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাই নানা জরুরী প্রয়োজনে প্রতিদিন দুই উপজেলায় হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী প্রতিদিন বকশীগঞ্জ ও ইসলামপুর উপজেলায় যাতায়াত করতে হয়। কোন উপায় না পেয়ে শিক্ষার্থী ও সাধারণ লোকজন প্রতিদিন জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে খেয়া পারাপার হয়ে থাকে।
অন্য দিকে সেতুটি নির্মাণ হলে জামালপুর জেলা শহরে যাতায়াতে ২০ কিলোমিটার দুরত্ব কমে আসবে।বকশীগঞ্জ উপজেলার লোকজন নিজ জেলা শহরে যাতায়াত করতে পারবে। অর্থ, সময় ও হয়রানির পরিমান কম হবে। দুই উপজেলার সড়ক যোগাযোগ, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জরুরী সেবাসহ নানা সেবামূলক কাজের পরিধি অনেকগুনে বেড়ে যাবে। বিভিন্ন ব্যবসার উন্নয়ন ঘটবে। পাল্টে যাবে অর্থনেতিক চিত্র।
বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক জানান, সেতুটির ব্যাপারে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করেছি। প্রাথমিকভাবে প্রকল্পটি অনুমোদনও হয়েছে। চুড়ান্ত অনুমোদন না পাওয়ায় দশানী নদীর সেতু নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছেনা। তবে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
এব্যাপারে বকশীগঞ্জ এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো.শামছুল হক জানান, দশানী নদীর ডনাইয়ের গোদারাঘাট নামকস্থানে ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি ব্রীজ নির্মাণের প্রস্তাব অনেক আগেই দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাাবটি অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্ধ পেলে কাজ শুরু হবে।

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by