চট্টগ্রাম

রায়পুরে ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের ব্রিজে দুর্ভোগ

  প্রতিনিধি ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৫:১৮:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে দক্ষিণ চরআবাবিল ইউনিয়নে ডাকাতিয়া নদীর সংযোগ খালের ওপর নির্মিত কাঠের পুল ব্রিজটি বেহাল হয়ে পড়েছে। সংস্কারের অভাবে পাটাতনের কাঠ উঠে ফাঁকা হয়ে গেছে। নড়বড় করছে কাঠের পুলের খুঁটিগুলো। এর মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন গ্রামবাসী। গত ৫দিনে পুলটি পাড় হতে গিয়ে ৬ শিশু শিার্থী খালে পড়ে গিয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।

ঝুকিপুর্ণ এই খালের ওপর নির্মিত এ ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ পারাপার হন। স্থানীয়দের নিজ উদ্যোগে পুলটি সংস্কার করলেও ব্রিজ দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। গ্রামবাসি বহুদিন ধরে খালের ওপর পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন জনপ্রতিনিধিদের কাছে। কিন্তু তাঁদের দাবি আজও সাংসদসহ কেউই পূরণ করে দেননি। বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা যায়, উদমারা গ্রামের কাঠের ব্রিজটির কোনো হাতল নেই। মেঘনা ও ডাকাতিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষক, শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ রোগীরা ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নবী বন্ধু জানান, ডাকাতিয়া নদীর সংযোগ খালের উদমারা গ্রাম হতে কাঠের (ব্রিজ) পুলটি দিয়ে মোল্লারহাটবাজার ও খাসেরহাট বাজার এবং হায়দরগঞ্জ বাজারে যাতায়াত করেন এ অঞ্চলের প্রায় ৫’শ পরিবারের লোকজন। ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের পুলের জন্য কৃষকরা বিভিন্ন ফসল নিয়ে যেতে অনেক সমস্যা হয়। এ অঞ্চলের বয়স্ক লোকদের শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উদমারা গ্রামের আশ্রায়নকেন্দ্রে যেতে অনেক সমস্যা হয়। তাই কাঠের পুলটির স্থানে পাকা সেতু নির্মাণের প্রয়োজন।’

স্কুল শিক আবদুস সোবহান বলেন, কাঠের (ব্রিজ) পুলটি দিয়ে চরবংশি, জালিয়ারচর ও বেরিবাঁধ সড়কের দুইপাশের বাসিন্দারাসহ বিভিন্ন বাড়ির প্রায় ৫০০ পরিবারের লোকজন যাতায়াত করেন। পাশাপাশি উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের হায়দরগঞ্জ গ্রামের কয়েকশ লোক প্রতিদিন যাতায়াত করেন। ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে ছোট ছোট শিশু ও বৃদ্ধ। এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের হাট-বাজার করে বাড়িতে আসতে অনেক কষ্ট হয়। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কোনো যানবাহন চলাচল করা সম্ভব নয়। তাই মাথায় করেই চালের বস্তাসহ বাজার আনতে হয়।

দণি চরআবাবিল ইউপি চেয়ারম্যান নুরে আলম জিকু বলেন, মেঘনা উপকূলীয় কৃষি অঞ্চলের মানুষের ‘কাঠের পুলের কারণে অনেক সমস্যা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে কালভার্ট নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।’

Powered by