চট্টগ্রাম

লক্ষীপুরে এক জনের যাবজ্জীবন ও পর্নোগ্রাফী মামলায় অপরব্যক্তির ৩ বছরের কারাদন্ড

  প্রতিনিধি ১ মার্চ ২০২৩ , ১২:৫০:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

লক্ষীপুর প্রতিনিধি: 

লক্ষীপুরে চাচাতো জেঠসকে তালাক দেওয়াকে কেন্দ্র ভায়রাকে হত্যার দায়ে মো. ইয়াসিনের যাবজ্জীবন  ও একটি পর্নোগ্রাফি আইনে দায়েরকৃত মামলায় জহিরুল ইসলাম খোকনকে ৩ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা জজ আদলতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। 

হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত ইয়াসিন নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার দক্ষিণ দেলিয়া গ্রামের মৃত আতিক উল্যার ছেলে। সে পেশায় কাপড়ের ফেরীওয়ালা। সে পলাতক রয়েছে। পর্নোগ্রাফী আইনে অপরদন্ডপ্রাপ্ত খোকন লক্ষীপুর সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের ঘোয়ারবাগ গ্রামের আব্দুল সহিদের ছেলে। রায়ের সময় সে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ২য় স্ত্রীকে তালাক দেয় আবু ছায়েদ। ঘটনার এক বছর পর ১৯৯৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আবু ছায়েদ তাদের প্রতিবেশি খোরশেদ আলমের বাড়িতে দিনমজুরির কাজ করতে যায়। বেলা ১১ টর দিকে ওই বাড়িতে ফেরী করে কাপড় বিক্রি করতে আসে আবু ছায়েদের চাচাতো ভায়রা মো. ইয়াছিন। ২য় স্ত্রীকে তালাক দেওয়াকে কেন্দ্র করে ইয়াছিন ভায়রা আবু ছায়েদকে গালমন্দ শুরু করে। এ সময় দুইজনের মধ্যে ঝগড়া লেগে যায়। এক পর্যায়ে ইয়াছিন ক্ষিপ্ত হয়ে একটি কাঠ দিয়ে আবু ছায়েদের মাথায় আঘাত করে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালীর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই রাতেই আবু ছায়েদের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারী নিহত আবু ছায়েদের ছোটভাই শাহ আলম বাদি হয়ে ইয়াছিনকে আসামী করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ৩১ আগষ্ট আসামী ইয়াছিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। প্রায় ২৭ বছর পর আদালত এ রায় দেন। ভিকটিম আবু ছায়েদ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের মৃত মনসুর আলমের ছেলে। পেশায় তিনি দিনমজুর ছিলেন। 

অপরদিকে,  জুসের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে মামাতো বোনকে অজ্ঞান করে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে জহিরুল ইসলাম খোকন। একপর্যায়ে আরও অশ্লীল ভিডিও দিতে বাধ্য করে। পরে গত ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর ওই কিশোরীর নগ্ন ভিডিও তার স্বামীর মোবাইল ফোনে প্রেরণ করে। এতে সংসার ভাঙ্গার উপক্রম হলে একই বছরের ২৭ নভেম্বররে চন্দ্রগঞ্জ থানায় পর্নোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের করেন ভিকটিম জাওয়াতা আফনান আইরিন। এ ঘটনায় ২০২১ সালের ২০ এপ্রিল পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

লক্ষীপুর জলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জসীম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by