শ্রীপুরে কলেজ ছাত্রকে রাতভর নির্যাতন, দেশীয় অস্ত্রের ছবি পাঠিয়ে হুমকি

এমদাদুল হক, শ্রীপুর (গাজীপুর): ঘরের বিছানায় সাজানো দেশীয় অস্ত্র। কাঁদে রাম দা নিয়ে ছবি তুলে দিদারুল ইসলাম বিজয় পরে ওই ছবি পাঠিয়ে কলেজ ছাত্র রিফাতকে (১৭) হুমকি দেয় দিদারুল ‘যা পারস করগা’। এই ভাবে দেশীয় অস্ত্রের ছবি পাঠিয়ে হুমকি দেয়ার ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামে।

ভুক্তভোগী রিফাত ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার অললী গ্রামের সৌদি প্রবাসী মোঃ আবুল হোসেনের ছেলে। সে উপজেলার অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম স্কুল এন্ড কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। অভিযুক্তরা শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামে বসবাস করে।  ভুক্তভোগী রিফাত জানায়, লক হয়ে যাওয়া ফেইসবুক আইডি চালু করার
জন্য দিদারুল ইসলাম বিজয়ী কে পাঁচ’শ টাকা দেয় । কিন্তু দিদারুল ইসলাম বিজয় উক্ত আইডি ঠিক না করায় টাকা ফেরত চায় রিফাত। এই নিয়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বিজয় ও তার চাচাতো ভাই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে  রিফাতকে ডেকে নেয়। রাত ৭টার দিকে রিফাত বিজয়ের বাড়ি পৌছে। এই সময় ঔ স্থানে পূর্ব থেকে অপেক্ষমান ৭/৮ জন যুবকরা রিফাতকে এলোপাথাড়িভাবে  মারপিট করে অজ্ঞান অবস্থায় দিদারুলের বাড়ির পাশে ফেলে রাখে। রাতভর  রিফাতের সন্ধান করতে পাই নি পরিবার।

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৬টার দিকে রিফাতের মা ফাতেমা আক্তার ছেলের সন্ধান পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান রিফাত অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গত শুক্রবার রাতে রিফাতের মা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় ওই তিন যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। রিফাতের বড় ভাই ফাহাদ জানান, থানায় অভিযোগ করার
পর দিদারুল তার ঘরের বিছানায় রাখা দেশীয় অস্ত্র ও রাম দা কাঁধে ছবি তুলে মোবাইলে পাঠিয়ে তার ভাইকে এ ভাবে হুমকি দেয় যে, আজ বেঁচে গেলি সুযোগ পাইলে ছাড়ব না, ‘যা পারস করগা।’

রিফাতের মা ফাতেমা আক্তার জানান, তার ছেলেকে অভিযুক্তরা হত্যা করতে এভাবে মারপিট করেছে। আবার দেশীয় অস্ত্রের ছবি পাঠিয়ে হুমকি দিচ্ছে। তিনি ছেলের নিরাপত্তা নিয়ে উৎকন্ঠায় আছেন। এই দিকে অভিযুক্ত দিদারুল ইসলাম বিজয়ের বক্তব্য নিতে একাধিকবার মোবাইলে ফোন করলেও মোবাইলটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক এসআই হামিদুল ইসলাম জানান, অভিযোগটি তদন্তাধীন আছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।