চট্টগ্রাম

সীতাকুণ্ডে ঈদ বাজারে উপচে পড়া ভিড় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত

  প্রতিনিধি ১০ মে ২০২১ , ৭:১৬:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম):

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেও ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ে জমে উঠেছে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ঈদের বাজার। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা।

উপজেলার প্রতিটি মার্কেটে শত শত ক্রেতার ভিড় লক্ষনীয়। ক্রেতাদের চাপে নিঃশ্বাস ফেলার সময় পাচ্ছে না বিক্রেতারাও। আর এ সুযোগে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী হাতিয়ে নিচ্ছেন অতিরিক্ত মুনাফা। এদিকে মার্কেটে সরজমিন ঘুরে বুঝার উপায় নেই দেশে করোনা ভাইরাসের মহামারী চলছে। উপজেলার মার্কেটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত।

ক্রেতাদের মধ্যে নেই সামজিক দুরত্ব নেই মাস্ক পড়ার প্রবনতা। বেশ কয়েকজন ক্রেতা বলেছেন, গত বছর করোনার কারণে মার্কেট বন্ধ ছিল, বাচ্চাদের জন্য ঈদে কাপড় চোপড় কিনতে পারিনি। এবার যেহেতু সরকার মার্কেট খোলার অনুমতি দিয়েছে তাই মার্কেটে এসেছি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মার্কেটগুলোতে ঈদ কেন্দ্রিক সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হয়। লকডাউনের কারণে গতবারের মতো এবারও দোকান খোলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। সরকার ব্যবসায়ীদের দিকে তাকিয়ে দোকানপাট খোলার অনুমতি দিয়েছে। এতে তারা খুশি। আর তারা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছেন। মাস্ক ছাড়া কোনো ক্রেতাকে দোকানে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। দোকানে সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানার উপকরণ রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। তবে সামাজিক দূরত্ব কিছু ক্ষেত্রে নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। জমজমাট হয়ে উঠছে সীতাকুণ্ডের পৌর এলাকার শপিং সেন্টার, ন্যাশনাল মার্কেট, সুপার মার্কেট, নাহার প্লাজা, সমবায় বিতান, আফরোজা প্লাজা, মহিলা মার্কেট, পাক্কাঘাট জামে মসজিদ মার্কেট, বদিউল আলম মার্কেট, কুমিরার চৌধুরী মার্কেট, ভাটিয়ারী শপিং মার্কেট, মিনা মার্কেট, সাকিব মার্কেট, বাড়বকুণ্ডের গনি মার্কেট।

মার্কেটগুলোতে বিক্রি হচ্ছে আকর্ষনীয় ডিজাইনের গ্রামীণ ঐতিহ্যে অতি যত্নে তৈরি করা পাঞ্জাবী, ফতুয়া, শাড়ী, ত্রিপিছ, বেড কভারও ছোট ছেলেদের নিত্য নতুন পোষাক ইত্যাদি।

সীতাকুণ্ড পৌর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল হোসেন জানান, ‘উপজেলার সব মার্কেটে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য ব্যবসায়ীদের তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। নিয়মিত তদারকিও করা হচ্ছে। মার্কেটের ব্যবসায়ীরা নিজেরা মাস্ক ব্যবহার এবং ক্রেতাদেরকেও মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। তবে ঈদের শেষ সময়ে যেহেতু ক্রেতাদের চাপ বাড়ে সেহেতু সামাজিক দুরত্ব মানা তেমন হয়ে উঠেনা। ঈদের কেনাকাটা উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by