শিক্ষা

২ বছর পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর

  প্রতিনিধি ৬ আগস্ট ২০২০ , ১২:৩৯:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

অনলাইন ডেস্ক: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে এক বছরের সেশনজট সৃষ্টি হতে পারে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একটি সেমিস্টার পিছিয়ে যেতে পারে। জটের এ ধাক্কা সামাল দিতে অন্তত দুই বছর সময় লাগতে পারে। তবে বাড়তি ক্লাস আর নির্ধারিত ছুটি বাতিল করে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করলে এ সংকট এড়ানো সম্ভব বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

করোনার কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না। জানা গেছে, ৩১ আগস্টের পর যদি আর ছুটি নাও বাড়ে, তবু ৬ মাসের ছুটিতে ৯ মাস থেকে এক বছরের সেশনজট হবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অক্টোবর-নভেম্বরে নতুন সেমিস্টার শুরু করা যাবে। তবে সাধারণভাবে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রলম্বিত হবে বিদ্যমান সেমিস্টার। কেননা প্রতিষ্ঠান খুলেই পরীক্ষা নেয়া যাবে না। এক্ষেত্রে দেড়-দুই মাসের প্রস্তুতির সময় দিতে হবে।

ইউজিসির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, উচ্চশিক্ষার বিদ্যমান ক্ষতি কমিয়ে আনতে এখন পর্যন্ত দুই বিকল্প ভাবনা উঠে এসেছে। একটি হচ্ছে-সাধারণ ছুটির আগে নেয়া শ্রেণি কার্যক্রমে শেষ করা কোর্সের ওপর বিশেষ ব্যবস্থায় চলতি সেমিস্টারের পরীক্ষা নিয়ে রাখা। এটি সম্ভব হলে ছয় মাসের সেশনজট এখানেই কমে যাবে। এরপর জুলাইয়ে শুরু হওয়া সেমিস্টারের শ্রেণির পাঠদান অনলাইনে নেয়া। এ দুই কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব হলে সেশনজটই হবে না। অন্য বিকল্পটি হচ্ছে- এখন পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হলে সেশনজট মেনে নিয়ে দুই বছর মেয়াদি একটি পরিকল্পনা করা। সেটি হচ্ছে- যখনই ক্যাম্পাস সচল হবে, তখন থেকে কোর্সের শ্রেণি কার্যক্রম ও ল্যাবরেটরি ওয়ার্ক সাধারণভাবে চলবে। এক্ষেত্রে কোর্সের কিছু ‘টপিক’ (পাঠের বিষয়) বাদ দেয়া যেতে পারে। এভাবে করা হলে ছয় মাসের সেমিস্টার চার মাসে আনা যাবে। সে ক্ষেত্রে ৯ মাস থেকে ১ বছরের জট তৈরি হলেও তা দুই বছরে পূরণ সম্ভব হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by