চট্টগ্রাম

উত্তপ্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি স্থাপনায় আগুন, ট্রেন ও প্রেসক্লাবে হামলা

  প্রতিনিধি ২৮ মার্চ ২০২১ , ৪:০৭:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতাল সমর্থনে সকাল থেকে উত্তপ্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ আশপাশের এলাকা। রোববার (২৮ মার্চ) শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। জেলার বিভিন্ন সড়কে আগুন জ্বালিয়ে, গাছ ও খুঁটি ফেলে অবরোধ করে রাখা হয়েছে।

এ সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল ছুড়লে বেশ কয়েকজন আহত হয়। আহতদের মধ্যে দুজন গুলিবিদ্ধ রয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বেলা ১১টার পর জেলা পরিষদ ভবনে আগুন দেওয়া হয়। সুরসম্রাট আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন, পৌরসভায় ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। আগুন দেওয়া হয় সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে।

হামলার ঘটনা ঘটেছে জেলার প্রেসক্লাবেও। এ সময় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক জনকণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক রিয়াজউদ্দিন জামি মাথায় আঘাত পান। পরে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা ট্রেনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর করা হয়। সকালে ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনের পৌঁছালে ট্রেনের ইঞ্জিন ও কোচের কাচ ভাঙচুর করা হয়। পরে ট্রেনটি ফিরিয়ে ভৈরবে নিয়ে আসা হয়েছে।

ট্রেন যেন চলাচল করতে না পারে, সে জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে আশপাশের রেলগেটের ব্যারিকেড বাঁকা করে ফেলা হয়েছে। রেললাইনের ক্ল্যাম খুলে ফেলা হয়েছে। শহরের মূল সড়কের অনেক স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে রাস্তা আটকে ফেলা হয়েছে।

আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজায় থাকা পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণ করে বিক্ষোভকারীরা। এ সময় পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা বলেন, জনগণের জানমালের রক্ষায় আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দ্রুতই পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by