রংপুর

তেঁতুলিয়ায় ইউএনও’র ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ

  প্রতিনিধি ১২ জুলাই ২০২১ , ৭:০৮:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি :

প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ রোধকল্পে সরকার কর্তৃক সার্বিক চলাচলে আরোপিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন, গণসচেতনতা সৃষ্টি, হাট বাজার ও জনসমাগম রোধসহ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ অভিযান ও মনিটরিং অব্যাহত রেখেছে তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রশাসন। প্রতিদিন বিকেল ৫টার মধ্যে হাটবাজারের দোকানপাট বন্ধ থাকার কথা থাকলেও যারা খোলা রাখছেন তাদের বিধি মোতাবেক ভ্রাম্যমাণ আদালতে অর্থদন্ড গুনতে হচ্ছে। এবার অর্থদন্ড না দিয়ে মানবিক সহায়তা দিয়ে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়েছেন ইউএনও সোহাগ চন্দ্র সাহা।

গতকাল বিকেলে শালবাহান ইউনিয়নের বোয়ালমারী আমতলীর গ্রামীণ বাজারে মোবাইল কোর্ট অভিযান ও বাজার মনিটরিংয়ের সময় রাস্তার পাশে চল্লিশোর্ধ্ব এক ব্যক্তিকে জীর্ণ শরীরে মাছ বিক্রয় করতে দেখতে পান ইউএনও সোহাগ চন্দ্র সাহা। ক্রেতাশুন্য বাজারে মাছগুলো পচে যাওয়ার উপক্রম হলেও মিলছিলো না ক্রেতা। দোকানির চোখে-মুখে হতাশার ছাপ দেখে ভ্রাম্যমাণ দন্ডের পরিবর্তে মাছ ব্যবসায়ীর হাতে তুলে দেন খাদ্য সামগ্রী সহায়তা। জানা যায়, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসা তেমন ভালো যাচ্ছিল না শালবাহান ইউনিয়নের মুনিগছ গ্রামের চল্লিশোর্ধ্ব মাছ ব্যবসায়ী আলাউদ্দিনের। স্ত্রী সন্তানসহ ৫ সদস্যদের সংসার চলছে চরম সংকটের মধ্য দিয়ে।

জীবিকার তাগিদে অসুস্থ শরীর নিয়েই বিধিনিষেধ অমান্য করে কয়েকটি মাছ বিক্রি করছিলেন তিনি। ইউএনওকে দেখে ভয় পেলেও দন্ডের পরিবর্তে ত্রাণ সহায়তা পেয়ে নিম্ন আয়ের এই মাছ ব্যবসায়ী আলাউদ্দিনের চোখে মুখে ফুটে উঠে স্বস্তির আনন্দ।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, করোনাকালিন সময়ে নিম্ন আয়ের মানুষ ভালো নেই বুঝতে পারি। কিন্তু প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার আরোপিত বিধিনিষেধ তো মানতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি, ভ্রাম্যমান আদালতে দন্ড নয়, পরিস্থিতি পর্যালোচনার মধ্য থেকে দন্ডের পরিবর্তে মানবিক সহায়তা দিতে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by