প্রতিনিধি ৬ মার্চ ২০২৩ , ৭:৫১:২২ প্রিন্ট সংস্করণ
আলমগীর হোসেন বিজয়নগর প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া :
বিজয়নগর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে চুক্তিতে চিকিৎসার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায় সাতগাঁও গ্রামের চাআহমদ এর ছেলে সাচ্চু মিয়ার দুটি ষাড় দুই লক্ষ টাকা দিয়ে খরিদ করিয়াছেন, পালন করে কুরবানীর হাটে বেশি মূল্যে বিক্রি করার জন্য, তবে ভাগ্যের পরিহাসে দুটি ষাড়ই বাদ জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় মরি মরি অবস্থায়, প্রাইভেট চিকিৎসায় প্রায় ভালো টাকা খরচ করে দিশেহারা হয়ে, কম খরচে সরকারি ভাবে চিকিৎসার আশায় উপজেলায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরে ফোন করলে ডাক্তার আরিফুল ইসলাম প্রথমেই তাকে চার হাজার টাকা দাবি করেন, গ্রাহক নিরুপায় ডাক্তারকে আসতে বলেন এবং চিকিৎসা শেষে গ্রাহক তিন হাজার টাকা দিলেন, ডাক্তার আরিফুল ইসলাম সেই টাকা নিতে অস্বীকার, তাকে চার হাজার টাকাই দিতে হবে বলেন। কিন্তু গ্রাহক জুড়াজুড়ি করে তিন হাজার টাকা দিলেন, ডাক্তার সাহেব বলেন আর কোনদিন ডাকলে আসবে না।
ভুক্তভোগী সাচ্চু মিয়া বলেন, আমি গরিব মানুষ, প্রতি বছরই একটা দুইটা ষাড় নিজে পরিশ্রম করে বড় করে ঈদে বিক্রি করে থাকি, কিন্তু এ বছর আমার ভাগ্য খারাপ গরু দুটোই রোগাক্রান্ত হলে, পয়সা বাঁচাতে গিয়ে সরকারি ডাক্তারকে কল করেছিলাম ডাক্তার সাহেবের এমন আচরণ করবে আমি ভাবিনি, তিনি আমার বাড়িতে আসার আগেই আমার কাছে চার হাজার টাকা দাবি করেন, আমি উনাকে বলেছি আসেন পরে দেখবো বিষয়টা, তবে ডাক্তার সাহেব চিকিৎসার পরে তিন হাজার টাকা দেওয়াতে সে বলে আমার ডাকে কোনদিন আসবেনা।
উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের খামারি এনাম খা, দুঃখের সহিত বলেন, গত তিন মাস আগে আমার একটা গাভীর ডেলিভারি সমস্যা হয়েছিল, তখন আমি উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিসে কল করলে, ডাক্তার এনামুল এসে, আমার গাভীকে পেটের মধ্যে তক্তা দিয়ে পাইরা ডেলিভারি করাতে না পেরে, বলে গেলেন ডেলিভারি নরমালে হবে, না হলে সিজার করতে হবে এবং সিজারের খরচ নয় হাজার টাকা নিয়ে চলে গেলেন, এবং আধা ঘন্টা পরে গাভিটা মারা গেলে, আমি বিষয়টা উনাকে জানালাম উনি উত্তরে বলল, আমার ভাগ্য খারাপ, আমার দুঃখ লাগলো আমার গাভীও গেল আবার নয় হাজার টাকাও গেল। আরও একদিন একটি গরুর সমস্যা হয়েছিল, আমি ফোন করে ডাক্তার আরিফুল ইসলামকে ফোন করলে, উনি রুক্ষ ভাষায় উত্তর দেন, এবং বলেন, ওনার সময় নাই, আসতে পারবে না। এমন যদি হয় তাহলে আমরা কোথায় গিয়ে সহযোগিতা পাব।
এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আরিফুল ইসলাম এর কাছে সাংবাদিকে জানতে চাইলে, সে উত্তরে বলেন, ভুক্তভোগী আপনার নাকি খালাতো ভাই, ওনাকে জিজ্ঞেস করেন, ওনার কাছ থেকেইত সুনচেন, অথবা আমার অফিসে আসেন, অন্যতায় আমার কিছু করার নাই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা(অঃদাঃ)ডাক্তার মোঃ নজরুল ইসলাম দৈনিক ভোরের দর্পণ কে বলেন, আসলে সে কোনভাবেই চুক্তিভিত্তিক সেবা দিতে পারে না, এটা হতে পারে যদি কারো বাড়িতে সেবা দেওয়ার জন্য যায় তাহলে, গ্রাহক নিজ ইচ্ছায় সম্মানী দিতে পারে। এবং সাংবাদিকের সাথে অসদাচরণের কথা জিজ্ঞেস করলে, উত্তরে বলেন, বিভিন্ন মানুষের মেন্টালিটি বিভিন্ন ধরনের আচরণ ও ভিন্ন টাইপের, হয়তো সরাসরি তার অফিসে গেলে অন্যরকম আচরণ মনে হতো। আগেও তার বিরুদ্ধে তদন্তে দুর্নীতির এক অভিযোগ উঠেছিল সে প্রশ্নে তিনি বলেন হ্যাঁ আমি শুনেছি সেটা।