প্রতিনিধি ৫ মার্চ ২০২৪ , ৫:০২:১০ প্রিন্ট সংস্করণ
খুলনার পাইকগাছার ১১৯নং স্মরণখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদ ধসে পড়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নানা সংকট নিয়ে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। পার্শ্ববর্তী জনৈক ব্যক্তির জায়গায় জরাজীর্ণ গোলপাতার ঘর তৈরি করে শিক্ষার্থীরা সেখানে ক্লাস করছে,কিন্তু সেটি প্রধান সড়কের পাশে হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দুর্ঘটনার সম্ভবনা আছে বলে জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কোহিনুর ইসলাম ।
অতি সত্তর বিদ্যালয়ের ছাদ সংস্কারের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন বিদ্যালয়েরর প্রধান শিক্ষক।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,পাইকগাছা-চাঁদখালী সড়কের পাশে অবস্থিত ১১৯নং স্মরণখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ চিত্র। ১৯৯০ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৮০ জন শিক্ষার্থী পাঠদান করছে। বিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবনের ছাদ ধসে পড়ায় গোলপাতার ঘরেই ঝুঁকির মধ্যেই শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কোহিনুর ইসলাম বলেন,গত ২০/০৮/২০২৩ সালে স্কুল চলাকালীন সময়ে হঠাৎ বিদ্যালয়ের কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কক্ষের ছাদ ধসে পড়ে। শ্রেণি শিক্ষক ঐ সময় শিক্ষার্থীদের ডেকে র্বোডের কাজ করাচ্ছিলেন ফলে শিক্ষার্থীরা মারাত্মক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায়।
বিষয়টি অভিভাবকরা জানার পর সরেজমিনে এসে ধসে পড়া অংশ দেখেন এবং ছেলে মেয়েদেরও বিদ্যালয়ে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।এমতাবস্থায় আমরা শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি মিলে তাৎক্ষণিক পরের দিন অস্থায়ীভাবে বিদ্যালয়ের পাশে গোল পাতার ছাউনি ও বাশের চটার বেড়া দিয়ে পাঠদান অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা করি।
কিন্তু অস্থায়ী ঘরটি প্রধান সড়কের পাশে হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দুর্ঘটনার ঝুঁকি আছে। এবং আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে বিদ্যালয়টি মেরামত করা না গেলে বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ জন্য আমি উপজেলা চেয়ারম্যান,বরাবর০৪/০৯/২০২৩ সালে বিদ্যালয়ের ছাদ সংস্কারের জন্য লিখিত আবেদন করেছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা বলেন,আমি সরেজমিন গিয়ে বিষয়টি দেখেছি ও বিদ্যালয়ের ছাদ সংস্কারের জন্য চাহিদা পত্র পাঠিয়েছি। আশা করছি আগামী দুই মাসের মধ্যে বরাদ্দ চলে আসবে। উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু বলেন আমি বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি।
ছাদ ধসে পড়ায় ছেলে মেয়েদের পড়া লেখায় একটু অসুবিধা হচ্ছে। আমি উপজেলায় মিটিংয়ে বিদ্যালয়ের বিষয়টি উত্থাপন করেছিলাম খুব তাড়াতাড়ি বিদ্যালয়ের ছাদ সংস্কার হবে বলে তিনি আশাবাদী।